স্বদেশ ডেস্ক: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে এক কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কৃষকলীগ নেতার নাম মাসুদ রানা। সে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও উপজেলা সদরের কলেজ পাড়ার ওসমান ফকিরের পুত্র। নিহত গৃহবধূর নাম ময়ুরী বেগম (২৬)। তিনি দুই সস্তানের জননী। এদিকে স্ত্রী ময়ুরীকে হত্যার পর অভিযুক্ত কৃষকলীগ নেতা মাসুদ রানা ও তার পরিবার নিজেদের বাড়িঘরে তালা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় আট বছর আগে নাটোরের পাটুল গ্রামের আনোয়ারের মেয়ে ময়ুরীর সঙ্গে নন্দীগ্রাম পৌর শহরের ওসমান গণির ছেলে মাসুদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া, মাদক সেবনসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। আর স্বামীর এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন স্ত্রী ময়ুরী। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মাসুদের যৌতুকের দাবিতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ময়ুরীকে তার স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য তার লাশ বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর থেকে মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালাতক রয়েছে।
ময়ুরীর বাবা আনোয়ার অভিযোগ করেন, ঘাতক মাসুদ রানার নানা ধরনের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় মাসুদ প্রায়ই তার মেয়ে ময়ুরীকে নির্যাতন করত। বিষয়টি নিয়ে মাসুদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একাধিকবার সালিশ করেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে মাসুদের হাতে মেয়েকে জীবন দিতে হলো। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু বিচার ও কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের ওসি শওকত কবির জানান, স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে ফেরার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে।